নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত,ঢাকা থেকে ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে একটি বর্ধিষ্ণু জনপদের একটি উপজেলা,যার পূর্বে মেঘনা,পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা,দক্ষিণে ধলেশ্বরী ও উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদ;চার নদীর মাঝে এক ইতিহাসরচিত এলাকা,নাম তার-সোনারগাঁ


সোনারগাঁ ছিল একসময় পুরো অবিভক্তের বাংলার রাজধানী।সোনারগাঁর নাম শুনলেই প্রথমেই উঠে আসে পানাম সিটির মতো ঐতিহ্যবাহী সব সাক্ষীর নাম , কিন্তু আজ বলব না এই ঐতিহ্যবাহী সাক্ষীর নাম,সাক্ষীর সব প্রথা ভেঙ্গে আজ বলব এক গৌরবউজ্জ্বল সোনারগাঁয়ের তথা বঙ্গ কিংবা উপমহাদেশের প্রথম ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা!!কি চমকে গেলেন?হ্যাঁ,পবিত্র মক্কা- মদীনা থেকে তুরষ্ক-সিরিয়া-ইরান হয়ে জ্ঞান বিতরণ যেভাবে মুসলিম মনীষীরা শুরু করেছিলেন উপমহাদেশের সেই জ্ঞানের আলো প্রথম ছড়িয়েছে এই বাংলার সোনারগাঁর এই ইসলামি একাডেমি থেকেই।ইতিহাসনামায় আজ বলব সেই ইতিহাসের সাক্ষীর কথা যার মাধ্যমে একজন বাংলাদেশি হয়ে গর্ববোধ করাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে রাখবে।

মানচিত্রে সোনারগাঁয়ের ও মোগরাপাড়ার অবস্থান।

মোগরাপাড়া ইসলামি একাডেমির কেন্দ্র ও ইতিহাস :


ঢাকা থেকে ২৭ কি.মি সোনারগাঁ চৌরাস্তা থেকে ১ কি.মি দক্ষিণে মোগরাপাড়ার অবস্থান যা ছিলো সুলতানি আমলে সুলতানদের প্রশাসনিক রাজধানী। ১৪৮৪ সালে মোগরাপাড়া দরগাহবাড়িতে অবস্থিত শিলালিপিতে মোগড়াপাড়াকে "মোয়াজ্জমবাদ" বা "মোকাররউদ্দৌলা" নামে অভিহিত করা হয়। তাছাড়া প্রশাসনিক অঞ্চল হওয়ায় একে "ডিহি সোনারগাঁও” বা “হাবেলি সোনারগাঁও" ইত্যাদি বলা হতো।তাহলে এখন প্রশ্ন আসতেই আসতেই পারে এসব নাম থেকে মোগরাপাড়া কেন বা কিভাবে হলো? ১৬০৮ সালে বারো ভুইয়ারা পরাজিত হলে মোগলরা বাংলার রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যায়।সব মানুষ ঢাকা মুখী হওয়ায় তখন পানাম সহ সম্পূর্ণ এলাকা অরক্ষিত ও পরিত্যক্ত হয়।তাছাড়া এই এলাকা নদী বিধৌত হওয়ায় সে সময় মগ,হার্মাদ জলদুস্যরা মেঘনা তীরবর্তী অঞ্চল গুলোতে লুটপাট,ডাকাতি শুরু করে।মগ জলদস্যুদের আস্তানা হয়ে এই এলাকা মগরাপাড়া বা মোগরাপাড়া নাম হয়।পরর্বর্তীতে হযরত দানেশমান্দ রহঃ(সুফি সাধক,ইরান থেকে আগত এবং একডেমির প্রধান প্রতিষ্ঠাতা )এখানে আসেন ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে।তিনি  সে সময়ের কুখ্যাত জলদস্যু মোগরাকে হত্যা করে এ অঞ্চলে শান্তি ফিরে আনেন।আর সেই থেকেই এই এলাকার নাম হয়ে যায় মোগরাপাড়া।হযরত দানেশমান্দ রহঃ মগরাকে হত্যা করায় তখনকার জনগণের অনুরোধে এই মোগরাপাড়ায়ই থেকে যান।দরগাহ বাড়ি কমপ্লেক্সে তার মাজার শরীফ রয়েছে।আর এই দরগাহ বাড়ি কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে দানেশমন্দ রহ. এর বর্তমান প্রজন্ম।  বর্তমানে সোনারগাঁও এর অন্যতম ইউনিয়ন  হচ্ছে মোগরাপাড়া।এই ইউনিয়নের কেন্দ্রে এখন হাসপাতাল,ব্যাংক সহ ১ টি সরকারি স্কুল,১ টি সরকারি প্রাথমিক স্কুল,কিন্টারগার্ডেন সহ,সোনারগাঁও এর প্রথম সরকারি কলেজ রয়েছে যা "সোনারগাঁও সরকারি কলেজ" নামে পরিচিত।মোগরাপাড়ায় “সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ”-র সমাধিসহ অসংখ্য সুফি সাধকের মাজার এবং ইসলামি একাডেমির প্রধান কেন্দ্র অবস্থিত,যার নাম হচ্ছে সাহেব বাড়ি বা দরগাহ বাড়ি কমপ্লেক্স



কমপ্লেক্সের সামনে চন্দন গাছ, কৃষ্ঞচূড়া গাছের গন্ধে এলাকা সুঘ্রাণে ভরপুর থাকে।কমপ্লেক্সে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নামাজ পড়ার পাশাপাশি,দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে সুফি সাধকদের মাজারে দোয়া দুরুদ পাঠ করে। বর্তমানে এই মসজিদ সহ পুরো কমপ্লেক্স  বাংলাদেশ প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের অধীনে রয়েছে।

অতীত এবং বর্তমান দরগাহ বাড়ি মসজিদ, যাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে ধরা হতো


দরগাহ বাড়ি কমপ্লেক্স-বঙ্গের শিক্ষার আলোককেন্দ্র :


আগেই আমরা জেনেছি,মোগরাপাড়ায় দরগাহ বাড়িতে স্থাপিত হয় উপমহাদেশের প্রথম ইসলামি একাডেমি।তো এই দরগাহ বাড়ির ইতিহাস ও জেনে নেওয়া যাক তাহলে?কেমন এই দরগাহ বাড়ি,কেনই বা এটাই প্রধান কেন্দ্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্র আসুন উত্তরটা খুজে বের করি তাহলে -


শের-ই-আজম সম্রাট শের শাহের নির্মিত গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের (ষোল শতকে সুলতান শেরশাহ কর্তৃক নির্মিত বাংলার সোনারগাঁও থেকে পাঞ্জাব পর্যন্ত বিস্তৃত সুদীর্ঘ সড়ককে বলা হয় গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড।বর্তমানে যা পরিচিত এশিয়ান হাইওয়ে হিসেবে) পাশে সমাহিত আছেন সোনারগাঁওয়ের স্বাধীন নৃপতিরা ও সুফি-সাধকরা।স্থানীয় লোকেরা তাদের এই কবরস্থানকে বলে "দায়রা শরীফ"।বর্তমানে এই “দায়রা শরীফ” গুলোকে নিয়ে একধরনের কমপ্লেক্স বানানো হয়েছে।অনেক গুলো সমাধী থাকলেও এর মাঝে ছয়টি সমাধি অন্যতম।আর এই সমাধিগুলোর অবস্থান দরগাহ শরীফ ও এর আশেপাশে।প্রায় ১৮ বিঘা জমি নিয়ে এই মসজিদ এবং কমপ্লেক্স,একসময় এর আশেপাশে ছিলো ৫ টি দীঘি।বর্তমানে তা কমতে কমতে ১ টি হয়ে দাড়িয়েছে।এর সামনেই রয়েছে একটি বাজার যা মোগরাপাড়া বাজার নামে পরিচিত। তাছাড়া,মোগরাপাড়ার সাথে দিয়েই বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যার শাখা মেনিখালী নদী।এছাড়াও অনেক খাল,বিল,পুকুর এই এলাকায় এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।আশেপাশে নদী,খাল-বিল থাকায় এই অঞ্চলে যাতায়াত ব্যবস্থা আগেই থেকেই উন্নত ছিল।উল্লেখ্য,১৪ শতকে বর্তমানের চীনের অঞ্চল থেকে তখনকার রাষ্ট্রদূতরা এবং সম্মান্নিত ব্যাক্তিবর্গ বিশেষ সফরে এই অঞ্চলে আসেন,তখন তারা এই এলাকাকে "বিশাল দীঘি,বাজার,খাল,ফোয়ারা এবং দেয়ালঘেরা এক শহর" বলে অভিহিত করেন।এই খাল বিল নদী গুলো এখনও ব্যবহ্রত হচ্ছে যাতায়াতে।তাছাড়া নদী এলাকা হওয়ায় ইসলামি একাডেমিতে মেনিখালী নদী দ্বারাই ছাত্র, মুমিনরা আসা যাওয়া করত।যে কারণে একাডেমির নাম সারা বাংলাতে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো।দরগাহ বাড়ির মসজিদ আজও এই এলাকার প্রধান মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ 


ধারণা করা হয় সুলতানি আমলের প্রথমদিকেই এটি নির্মাণ শুরু হয়।এক বিশাল গম্বুজ,  মসজিদের ভিতরে শিলালিপি,বাহিরে পাথরের কারুকার্য,আজো যেন মুসলিম,সুলতানি আমলের ঐতিহ্য বহন করছে।


শরীফুউদ্দিন আবু তাওয়ামা-উপমহাদেশের ইসলামি শিক্ষার অগ্রদূত :


প্রাচীন সোনারগাঁওয়ের সুফি সাহিত্যিক কে?অন্ধকার সোনারগাঁওয়ের জ্ঞানের আলোর মশাল কে জালিয়েছিলেন?

সোনারগাঁয়ের জ্ঞানের মশাল নিয়ে যিনি আলোর পথ দেখেছিলেন তিনি হলেন প্রাচ্যের একজন সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষী "শরীফ আল দীন আবু তাওয়ামা" নামে পরিচিত।যার নাম সোনারগাঁয়ের মানুষ  এখনো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।সোনারগাঁয়ে ১২৭৫ সাল থেকে মুসলিম অভ্যুদয়ের সূচনা শুরু হয়।  আর ঠিক সেই সময় এই সূচনা শুরু করে আবু তাওয়ামা।ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্য খোরসান থেকে দিল্লি হয়ে সোনারগাঁ আসেন এই শিক্ষাঅনুরাগী।মাঝখানে বিহারে কিছুকাল অবস্থান করেন এই সুফি।এই সুফি সাধক ১২৬৬ সালে সোনারগাঁও এর উদ্দেশ্যে রওনা করেন।


এখন এখানে প্রশ্ন আসতেই পারে হিন্দু অধুষ্যিত অঞ্চলে কিভাবে তিনি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন? 


এ ব্যাপারে ঢাকা গেজেটে উল্লেখ রয়েছে- "খোরাসান থেকে আগত মনিষী সোনারগাঁয়ে একটি ইসলামি মাদ্রাসা তৈরির উদ্দেশ্যে ৫ মণ স্বর্ণ দান করেছিলেন এবং তিনি নিজে এর পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।" আর এই একাডেমীর অধ্যক্ষ হিসেবে শরীফ-আল-দীন আবু তাওয়ামা নিজেই নিয়োজিত হন।মাদ্রাসায় পড়ালেখা শুরু হয় ১২৭৬ সালের দিকে।সহীহ  হাদিস বিশারদ বিশেষজ্ঞের এই মাদ্রাসায় পাক ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্ররা এসে পড়াশোনা করতো।


এখানে বলে রাখা ভালো,পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাঙ্গালী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দির পূর্ব পুরুষরা এই একাডেমী থেকেই শিক্ষালাভ করে।আবু তাওয়ামা শুধু সহীহ কেবল হাদিসেই সুদক্ষ ছিলেন না,তিনি পড়াতেন নীতিশাস্ত্র, কোরআনের সহিহ তাফসীর,সুফি সাহিত্য,রসায়  শাস্ত্র, জোর্তিবিদ্যা,গণিতবিদ্যা ইত্যাদি।তার লিখিত-"তাসাউফের মাকা মাকামাথ” নামে সাহিত্য ও “বক্তৃতা নাম-ই- হক" নামে একটা বক্তৃতা সংকলনের ইতিহাসও আছে।এই দুষ্প্রাপ্য সাহিত্য লন্ডন জাদুঘরের লাইব্রেরিতে এখনো আছে।তিনি এই সোনারগাঁও কে আধুনিক সোনারগাঁও করার অন্যতম কারিগর।দরগাহ মসজিদে তার সমাধি রয়েছে।একাডেমির আলেমগণের উপর সম্মান রাখার জন্য দানিশমান্দ রহ. এর ২য় প্রজন্ম নান্না মিয়া ১২ই মাঘকে পবিত্র দিন বিবেচনায় রেখে একটি মিলাদ মাহফিল আয়োজন করে আসছে।এই মাহফিলে বিপুল পরিমানে ঢাকা থেকে আবু তাওয়ামার ভক্তরা আসে।এমনকি তাদের মাঝে বিহারীও রয়েছে।

অজানা ছয়টি মাজার সবুজ রঙ দিয়ে আচ্ছাদিত মাজারটি শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা রহ. এর

উপমহাদেশের প্রথম ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় :

মদীনা, তুরষ্ক, পারস্য হতে উপমহাদেশে ইসলাম সুফি সাধকেরা এদেশে ইসলামের প্রচার ঘটিয়েছেন।আর এই প্রচার হতে ভাটিয়ালি এই দেশে ইসলামের অনুরাগীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে আর সেখান থেকেই প্রয়োজন হয় একটি প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান আর যার শুরু হয়েছিল দিল্লি সালতানাতের মসনদ হতে প্রায় ১৯০০ কি.মি দূরে এই ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে।  ত্র‍য়োদোশ হতে চতুর্দশ শতকের শেষ পর্যন্ত মোগরাপাড়ার শাহ চিল্লারপুর,বাড়ে মজলিশ ও গোয়ালদী গ্রামে সুফি সাধকদের বিশাল প্রভাব ছিলো।এ প্রভাবের মূল যে ছিলো তার নাম "শরীফ আল দীন আবু তাওয়ামা"। ১২৭৭-৭৮ সালের দিকে হযরত ইবরাহীম দানিশমান্দ রহ. এর সভাপতিত্ত্বে মোগরাপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত এ ইসলামি একাডেমি।

হযরত ইবরাহীম দানিশমান্দ রহ এর মাজার

আর প্রতিষ্ঠার পর অধ্যক্ষ নিয়োজিত হন "শরীফ আল দীন আবু তাওয়ামা।তবে মাদ্রাসার শিক্ষকরা দেশীয় ছিলো না।ইসলামি দর্শন, শাস্ত্র যেসব পন্ডিত ছিলেন তাদের নাম এর শেষে যেমন “দানিশমান্দ”,“আহলে হাদীস”,“ইলমে হাদিস”,”হাদিস বিশেষজ্ঞ” এসব পদবি-ই প্রমাণ করে।মোগরাপাড়ার দমদমায় এখনো এদের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখলে তাদের প্রমাণ মিলে।দরগাহবাড়িতে ফকির মুন্না শাহ,হজরত সৈয়দ মোঃ কামেল ইউসুফ,ঢহরপাড়াইয় পোকাই দেওয়ানের সমাধিসহ প্রমুখের দেখা মেলে।এ একাডেমির শিক্ষক সহ প্রতিষ্ঠানের সকল ব্যায় স্বাধীন বাংলার সুলতানদের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বাহ হতো।আর এ একাডেমিকেই কেন্দ্র করে পূর্ববাংলায় ইসলামিক শিক্ষা-সংস্কৃতির বীজ রোপিত হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ কাঠামোই ধ্বংস হয়ে গেছে,তবে কিছু কিছু অবশিষ্ট অংশ এখনো দেখা যায়।মোগরাপাড়ার অদূরে দমদমা গ্রামে এখনো পুরানো ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়,যা ছাত্রদের  হোস্টেল হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

মোগরাপাড়ার আশেপাশে দমদমা এলাকায় সুলতানি আমলের দালান, ধারণা করা হতো এগুলো ছাত্র হোস্টেল হিসেবে ব্যবহার করা 

পূর্ব কথায় ফিরে আসি,ইলিয়াস শাহী বংশের আমলে(১৩৫৩) এবং বাংলার সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের আমলে (১৩৮৯-১৪১০)সোনারগাঁও ইসলামি একাডেমির অবস্থান অনেক শক্তিশালী ছিলো।এ কারণে মধ্যযুগের বাংলায় সুলতানদের মাঝে শিক্ষা-দীক্ষা,সাহিত্য,কাব্য-লিপি,পররাষ্ট্রনীতি,এমনকি তারা মক্কা মদিনায় "বঙ্গীয় গিয়াসিয়া মাদ্রাসা" প্রতিষ্ঠা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে পারস্য,চীনে পাঠাতেন। তবে গিয়াসউদ্দীন আজম শাহের হত্যার পর শাহ বংশ বাংলায় আহরণ করার পর প্রায় ১০০ বছর (১৪১০-১৫০০)একাডেমির শিক্ষকদের পরিচয় পাওয়া যায় নি।মোগরাপাড়া থেকে প্রাপ্ত একটি শিলালিপি থেকে তাই বলা যায়।তবে ব্রিটিশ আমল থেকে এই একাডেমির গুরুত্ব পর্যায়ক্রমিক ভাবে কমতে থাকে……………(চলবে)



রুবায়েত ইসলাম
  Ryan