রোগ - লিখেছেন - নূর হোসেন
তোমারই জন্যে আমার রক্তে এক ধূসর অসুখ জন্মেছে।
এই অসুখ কর্কট রোগের মতো।
বেড়েই চলেছে প্রতিনিয়ত,
এত সহজে থামবার নয়।
তবে ক্ষতগুলো ফুঠে উঠে না ত্বকে কিংবা মাংসে,বক্ষগহ্বরেই রয়।
এজন্যই ব্যথার তীব্রতা খানিক বেশি।
যখন তুমি থাকো না,অন্ধকার ঘরে আমার দুর্বল হাত তোমার অস্তিত্ব খুঁজে পায় না,
ঠিক তখনই এই কর্কট রোগ প্রবল আকার ধারণ করে। বক্ষে চাপ অনুভূত হয়।
আমার দুর্বল মস্তিষ্ক পায় ভয়।
আমার দুর্বল স্নায়ু শুধু তোমাকে চায়।
মৃত প্রায় নিউরন শুধু অনুরণ হওয়ার বোধ পায় তোমার অস্তিত্বে।
ইন্দ্রিয়গুলো আজকাল খুব একটা কাজ করে না।
তোমাকে ছাড়া তারা কাজ করার আগ্রহ ও দেখায় না।
অন্ধকার একা ঘরে তোমার দেহের ঘ্রাণ চায়।
তোমার শীতল ঠোঁটের স্বাদ চায় শুধু।
তোমার স্পর্শ পেতে চায়।
না,উত্তেজিত করার স্পর্শ নয় মোটেও,সাধারন স্পর্শ,ভালোবাসার স্পর্শ।
মেঘ মেঘ অন্ধকারে ডুবে থাকা সকালটা তোমাকে পাশে পেতে চায়।
আমাদের ঘরের টানা বারান্দার সেই চৌকিটাও চায় আমি আর তুমি আগের মতো সেখানে গিয়ে বসি।
টিএসসির চায়ের দোকানগুলো চায় আমি আর তুমি আবার সেখানে আবার গিয়ে কবিতা আওড়াই।
কখনো বলিষ্ঠ কন্ঠে আবার কখনো বা ম্রিয়মাণ স্বরে।
সাথে থাকুক না একগুচ্ছ কাঠগোলাপ আর নিকোটিন।
ক্ষতি তো নেই।
তাই না?
রেলস্টেশনের বেঞ্চগুলো আমাকে আর তোমাকে চায়।
চায়,আবার আমি আর তুমি সেখানে রাত পার করি।
আমার কাধেঁ তোমার মাথা।
আমার চিন্তাহীন ললাটে তোমার ঠোঁটের স্পর্শ।
ঢাকা শহরের রাজপথ আমাকে আর তোমাকে চায়।
আমাদের সেই ভীতিহীন পদক্ষেপগুলো চায়।
তার উপরে হেটে যাওয়ার সময় আমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের গল্প শুনতে চায় রাজপথ।
কিন্তু তোমাকে তো আমিই পাই না।
তারা কিভাবে পাবে বলো তো নিরু?
তুমি নেই বলেই তো আমার মস্তিষ্কের কর্কট রোগটি বিরাট আকার ধারন করেছে।
তাই তো ইন্দ্রিয়গুলো ভোতাঁ হয়ে গেছে।
তুমি নেই বলেই তো আমি এই অন্ধকার কুঠরীতে বদ্ধ।
না,এটা কোনো ইট-পাথরে গড়া কুঠুরি না।
এইটা তোমার গড়ে দেয়া আমার মস্তিষ্কের ভালোবাসার কুঠুরি।
তোমারই গড়া কুঠুরিতে আজ বন্দি আমি।
+লেখক: নূর হোসেন
গবর্নমেন্ট সায়েন্স হাই স্কুলে পড়ছেন। আপাতত শুধু নিজেকেই খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
ফেসবুক আইডি:আইডি লিংক