বাংলাদেশে নির্মিত কম্পিউটার এনিমেটেড মুভি '(tomorrow) টুমোরো'। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব কিভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তা তুলে ধরা হয়েছে এই শর্ট ফ্লিমে। বাংলাদেশের কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় রাতুলের বসবাস। তা সত্বেও ওর পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি কোন খেয়াল নেই। অন্য সব ছেলেদের মত সেও ভিডিও গেম খেলতে ভালবাসে।

কিন্তু এই রাতুল একদিন স্বপ্নের জগতে বাতাসের কর্তা (বাতাসের বুড়ো) এর সাথে সাক্ষাত ঘটে। যে ওকে পুরো পৃথিবী ঘুরিয়ে দেখায়, কোথায় কি ঘটছে?


জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের ফলে দিন দিন কিভাবে হিমালয় থেকে বরফ গলে যাচ্ছে, কিভাবে কলকারখানার কালো ধোঁয়া গ্রীন হাউস ইফেক্ট তৈরি করছে । আর এর ফলাফল কতটা ভয়ংকর হলে ডুবে যেতে পারে আমাদের বাংলাদেশও। এবং সুস্থ অবস্থায় কতটা সুন্দর হতে পারে আমাদের ঢাকার শহর!

এই স্বপ্ন রাতুলকে পরিবর্তন করে তোলে। আগামীর সুস্থ পৃথিবীর পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় সচেতন করে তোলে। তাই রাতুল  তার পরিবার ও সহপাঠী পরিবেশ দূষণ রোধে সকল কর্মকাণ্ড এগিয়ে আসে।

ঠিক গ্রেটা থুনবার্গের আন্দোলনের মতোই!

'২০১৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ক্লাস বর্জন করে বিশ্বের নেতাদের জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মনে করিয়ে দিতে যে অবস্থান নিয়েছিলো সুইডেনের পার্লামেন্টের বাইরে। পরে পরিবেশ রক্ষার এ উদ্যোগে গ্রেটার সঙ্গে শামিল হয় বিশ্বের লাখো শিশু–কিশোর।'

মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন এর পরিচালিত।

বাংলাদেশি কম্পিউটার এনিমেটেড শর্ট ফিল্ম 1 কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত। মাত্র 25 মিনিটের এ ফ্লিমটি 2019 এর 29 শে ডিসেম্বর দীপ্ত টিভিতে প্রথম মুক্তি পায়।

রাতুলের মত শিশু-কিশোরদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা কারণ তুলে ধরাই এর প্রধান উদ্দেশ্য। আর দেখতে পাবেন বাংলাদেশি এনিমেটেড ফিল্ম কতটা চমৎকার আর বিস্ময়ের হতে পারে!



লেখকঃ মোবারক ইবনে মনির

বাস্তবতার সন্ধানে বই পড়া। সময়ে-অসময়ে একাকী পথ হাঁটা। গান শুনতে ভালোবাসা। আর একজন আপাদমস্তক ইসলাম প্রেমিক।