অটোবায়োগ্রাফি অফ অ্যান অ্যানাদার আননোন ইন্ডিয়ান - খালিদ আল হাসান (স্বাক্ষর)
খুশবন্ত সিং। নামটা সবার কাছে কমবেশি যতটা না পরিচিত যতটা তার থেকেও বেশি জিজ্ঞাসা সকলের যে এই নামের ব্যক্তিটি নন্দিত নাকি নিন্দিত? উত্তরটা নিয়ে আজো বিভিন্ন মহলের মধ্যে বিতর্ক হয়। খুশবন্তের চালচলন, জীবনযাপন, পরিবার, ক্যারিয়ার সব মিলিয়ে আজো দিনশেষে সকলের মনে আজো প্রশ্ন জাগায় এই লোকটিকে নিন্দিত নাকি নন্দিত কোন কাতারে ফেলা যায়?
সে যাই হোক খুশবন্ত সিং এর জীবন সম্পর্কে জানলে দিনশেষে সবাই একই উত্তরই দেন- জীবন আসলে খুশবন্ত সিংয়ের মতোই হওয়া উচিত। ৯৯ বছরে এসে থেমেছিল তাঁর জীবনের পথচলা। বয়সের সেঞ্চুরি হয়তো পূরণ হয়নি, কিন্তু তার মতো করে জীবনকে উপভোগ করতে পারেন কম মানুষেই।
খুশবন্তের জন্ম ছেলেবেলা কেটেছে বর্তমান পাকিস্তানের সারগোদা জেলার হাদালিতে। তাঁর বয়স যখন ১০ তখন পিতা শোভা সিং এবং পিতামহ সুজন সিং পুরো পরিবারকে হাদালি থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসেন। খুশবন্তের ছেলেবেলা যে তাঁকে বিপুলভাবে প্রভাবিত করেছিল তা স্পষ্ট বোঝা যায় তার লেখা থেকে। ৯৯ বছরের এই জীবনে খুশবন্ত প্রত্যহ তার জন্মভূমি হাদালির স্মৃতিচারন করতেন।
দেশ ছাড়ার সময় লাহোর কোর্টের আইনজীবী ছিলেন তিনি। পাকিস্তান ছাড়ার সেই দুঃসহ যন্ত্রণা খুশবন্ত সিং ভুলতে পারেননি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। দেশভাগ নিয়ে তার লেখাগুলো পড়লেই তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে এই ব্যাপারটা আবশ্যক যে আর দশজনের মতো খুশবন্ত কিন্তু মনে বিষ আর বিদ্বেষ নিয়ে ঘুরে বেড়াননি। তিনি দেশভাগের পরে ও অসংখ্য বার পাকিস্তানে গিয়েছেন এবং পাকিস্থানের অন্যতম একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও ছিলেন।
খুশবন্ত সিংয়ের জন্মের পর তার দাদী নাতির নাম রেখেছিলেন খুশাল সিং। দিল্লি মডার্ন স্কুলে ভর্তির পর ছেলেপুলেরা কেউ কেউ তার নাম নিয়ে হাসাহাসি করত। এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে বড় ভাই ভগবন্তর সঙ্গে নাম মিলিয়ে খুশালের নাম পাল্টে খুশবন্ত রাখা হলো। ছাত্র হিসেবে তেমন কৃতিত্ব রাখতে পারেননি খুশবন্ত সিং। প্রথমে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে ভর্তি হলেও বেশি পড়াশোনার চাপে সেখানে আর থাকেননি। এরপর লাহোর সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেছিলেন তৃতীয় বিভাগে। বি এ পড়ার সময় এক হায়দ্রাবাদী মুসলিম তরুনীর সাথে প্রণয়ে জড়ান। কিন্তু ধর্ম আলাদা হবার কারনে সে সম্পর্ক কয়েক মাসের মধ্যেই সমাপ্ত হয়। কিন্তু এই তরুনীটি খুশবন্তের জীবনে প্রভাব ফেলেছিল ব্যাপক। খুশবন্ত তার আত্মজীবনী "ট্রুথ লাভ আন্ড লিটল ম্যালিস" বইতে ঘটনাটার উল্লেখ করেছেন এভাবে,"শুধুমাত্র একটি তরুনী আমাকে গোটা একটি সম্প্রদায় সম্পর্কে চিন্তাভাবনার পরিবর্তন ঘটাতে বাধ্য করেছিল।"
যাই হোক এরপর লন্ডনের কিংস কলেজে ভর্তি হন আইন পড়তে। লন্ডনের সময়টাই তার জীবন বদলে দিয়েছিল। সেই সময় কিংস কলেজের লাইব্রেরি তার লেখক হবার বীজ বপন করেছিল। লন্ডনে থাকতে তার পরিচয় ঘটে হ্যারল্ড লাস্কির মতো বিখ্যাত ব্যক্তির সাথে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তৃতীয় শ্রেনীতে এল এল বি পাশ করে কেমব্রিজ এবং অক্সফোর্ডে এল এল এম এর জন্য আবেদন করে প্রত্যাঘাত হন এবং দেশে ফিরে আসেন এবং যোগ দেন লাহোর হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে এবং সেখানেও সম্পূর্ন ব্যর্থ হন। লন্ডনে থাকাকালীন সময়ে তার ছেলেবেলার বান্ধবী ও সহপাঠী কাভাল মালিকের সাথে খুশবন্তের বিয়ে ঠিক হয়। সে সময় কাভালের বাবা ছিলেন প্রথম ভারতীয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক নাইটহুড খেতাব প্রাপ্ত। তবুও খুশবন্তের সাথে তারা বিয়ে দেন শুধুমাত্র তারা যখন তাকে দেখতে এসেছিলেন উনি বিছানার নিচে গ্রন্থসাহেব রেখেছিলেন।
যাই হোক টানা ৮ বছর ব্যর্থ আইনজীবী হিসেবে কাজ করার পর যেখানে উনি একটি ও মামলা জিততে পারেননি দেশভাগ হয়ে গেলে তার ভাগ্যের মোড় ঘুরে যায়। তিনি ঢুকে গেলেন স্বাধীন ভারতের ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে। প্রেস অ্যাটাশে এবং পাবলিক অফিসার হিসেবে কাজ করেছিলেন লন্ডন এবং অটোয়ার ভারতীয় দূতাবাসে। লন্ডনে কাজ করার সময় তিনি কৃষ্ণ মেনন এবং জওহরলাল নেহরুর সংস্পর্শে আসেন। মেনন সম্পর্কে তার বিখ্যাত মন্তব্য ছিল এমন "মেনন তার বাবার মতোই চিরকুমার ছিলো"। এছাড়াও অনেকে ধারনা করেন তিনি নেহরু এবং লেডি মাউন্টব্যাটেন এর চিঠিগুলোও গোপনে পড়ে ফেলেছিলেন, যার জন্য পরে তাকে লন্ডন থেকে বদলি করে দেয়া হয়। নেহরু তাকে একবার ডেকে শুধু বলেছিলেন " ছোকরা, তুমি বড্ড চালাক।"
লন্ডন ও অটোয়াতে থাকার পর সাংবাদিকতায় খুশবন্ত সিংয়ের হাতেখড়ি হয় অল ইন্ডিয়া রেডিওর মধ্য দিয়ে। সেখান থেকে ইউনেস্কোতে ৪ বছর কাজ শেষে যোজন পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। এক সময় বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গ্র্যাজুয়েট ছাড়া ভারতীয় সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদক তো দূরের কথা, সহযোগী সম্পাদক হওয়ার স্বপ্নও কেউ দেখার সাহস পেতেন না। অথচ খুশবন্ত সিং এই মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়েও সম্পাদনা করেছেন 'দ্য ন্যাশনাল হেরাল্ড' ও 'দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের' মতো প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক। প্রতিষ্ঠা করেছেন বিখ্যাত সাপ্তাহিক পত্রিকা 'ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অফ ইন্ডিয়া'। অন্য সম্পাদকরা অফিস করতেন স্যুট পরে, আর খুশবন্ত সিং পরতেন টি-শার্ট।
তিনি যে কতটা পরিশ্রমী ছিলেন তা বলা বাহুল্য যদিও তার সমস্ত লেখাই ছিল পুরোদস্তুর যৌনতায় পরিপূর্ন। এমনকি তার নিজের আত্মজীবনীতে তিনি কীভাবে বাসর ঘরে তার স্ত্রীর সতীচ্ছেদ করেছিলেন সে বর্ননাও দিয়েছেন। তবে তার সারাদিনের সময় কাটতো অত্যন্ত ব্যস্ততায়। ভোর সাড়ে ৪টার সময় উঠে লিখতে বসে যেতেন। ঘুমাতে যেতেন রাত ৯টায়। সময়ের ব্যাপারে ছিলেন প্রচণ্ড সচেতন। আশির দশকে ভারতের রাষ্ট্রপতি জৈল সিং এসেছিলেন খুশবন্ত সিংয়ের বাড়িতে। ২ জন ছিলেন বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ঘড়ির কাঁটা ৮টা ছুঁতেই খুশবন্ত সিং জৈল সিংকে বললেন, 'আমি ৯টা নাগাদ ঘুমাব। তুমি বাড়ি যাও।' কেবল তাই নয়, একাধিকবার রাত ৮টার মধ্যে খাবার না দেওয়ায় নিমন্ত্রণ থেকে উঠে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন খুশবন্ত সিং।
গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ সবই হতো তার হাতে। সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে লেখা রম্যগুলো তার অসামান্য সৃষ্টি। দেশভাগ নিয়ে খুশবন্ত সিংয়ের লেখা 'ট্রেন টু পাকিস্তান' পড়েননি এমন মানুষ কমই বলা চলে। দেশভাগ আর তার পরের কয়েক বছরের রক্তাক্ত ইতিহাস নিয়ে লেখা বইটি পড়তে গিয়ে আজও স্তব্ধ হয়ে যেতে হয় প্রতিক্ষণে।
ভারতীয়দের ইংরেজী ভাষায় সাহিত্য রচনার ধারাটাই বদলে দিয়েছিলেন খুশবন্ত সিং। গল্প, স্মৃতিকথা, ইতিহাস বা সম্পাদকীয়- সব ক্ষেত্রেই তিনি ব্যবহার করতেন স্বভাবজাত হাস্যরস ও কৌতুকপ্রিয় মনোভাব। ফলে লেখা হয়ে উঠত অনন্য। এই ভিন্ন মাত্রার রচনাশৈলী তার লেখাকে এক আলাদা মাত্রা দিত।
সংবাদপত্রে খুশবন্ত সিংয়ের সবচেয়ে বিখ্যাত কলাম ছিল 'উইথ ম্যালিস টুওয়ার্ডস ওয়ান অ্যান্ড অল'। যেটা ভারতের অনেক সংবাদপত্রে শনিবারের সম্পাদকীয় পাতায় বছরের পর বছর ছাপা হয়েছিল। এই লেখায় খুশবন্ত সিং তুলে আনতেন সংস্কৃতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সাহিত্য থেকে ভ্রমণ পর্যন্ত।
সাহিত্যে যৌনতা তুলে আনার জন্য তার দিকে সমালোচনার তীর সবসময়ই ছিল। এই জন্য তাকে 'বাস্টার্ড চাইন্ড অফ ইন্ডিয়া' খেতাব দেয়া হয়। সাহিত্যবোদ্ধারাও বারবার তার রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি আক্ষেপ করছিলেন এই নিয়ে। বলছিলেন, 'যেহেতু আমি যৌনতা নিয়ে লিখি, মদ্যপানের পক্ষে লিখি, অনেকেই আমাকে হেয় করেন।'
খুশবন্ত সিং নিজে ব্যক্তিগত জীবনে নাস্তিক হলেও লিখেছিলেন ২ খণ্ডের শিখ গবেষণাভিত্তিক 'অ্যা হিস্টরি অফ দ্য শিখ' বইটি। এই বইটিকে শিখ ধর্মের অন্যতম প্রামাণ্য ইতিহাস হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন খোদ শিখ ধর্মগুরুরাও। আবার শিখ উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধেও তিনি ছিলেন আজীবন সোচ্চার। প্রকাশ্যেই তিনি বলতেন, 'ধর্মীয় মৌলবাদীরা ছাড়া আমার কোনো শত্রু নেই।'
যদিও তিনি ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীর অতি ঘনিষ্ঠদের মধ্যে একজন এবং নেহরু পরিবারের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকার কারনেই তিনি যথাক্রমে রাজ্যসভার সদস্য হন তবে শিখদের প্রধান তীর্থস্থান অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের নির্দেশে সেনা অভিযানের বিরোধিতা করে তিনিই আবার ১৯৮৪ সালে পদ্মভূষণ খেতাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। অবশ্য পরে তাকে পদ্মবিভূষণ খেতাব দেওয়া হয়েছিল। কট্টরপন্থীরা তাকে গালি দিত 'ইন্দিরা গান্ধীর চামচা' বলে। খালিস্থানিরা খুশবন্ত সিংকে 'শয়তান সিং' বলে আখ্যা দেন এবং তাকে হত্যার কয়েকবারই সরাসরি টার্গেট করা হয়েছিল। অথচ ইন্দিরা গান্ধী যখন সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলেন তখন সর্বপ্রথম প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন খুশবন্ত সিং।
এই নিয়ে এক লেখায় খুশবন্ত সিং লিখেছিলেন, 'আমার কাছে যখন মনে হয়েছে জরুরি অবস্থা জারি ঠিক আছে, তখন আমি ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সমর্থন জানিয়েছি। প্রতিবাদ আপনি করতেই পারেন। মিছিল-মিটিংসহ অসংখ্য কায়দা আছে। প্রয়োজনে হরতালও দিতে পারেন। কিন্তু জনমানুষের জীবনযাত্রার উপর সহিংস হতে পারেন না। আপনার কারণে অন্য একজনের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে না। আমি তখন এজন্যই সমর্থন করেছিলাম। আবার এই সরকারই যখন সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করল, আমি আমার আপত্তি জানালাম এবং সমর্থন প্রত্যাহার করলাম।'
মুক্তিযুদ্ধের সময় নিউইয়র্ক টাইমসে নিয়মিত বাংলাদেশের পক্ষ নিয়ে জনমত গঠন এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন খুশবন্ত সিং। মুক্তিযুদ্ধের ১ আগস্ট খুশবন্ত সিংয়ের লেখা 'হোয়াই দে ফ্লেড পাকিস্তান অ্যান্ড ওন্ট গো ব্যাক' সাড়া ফেলেছিল গোটা যুক্তরাষ্ট্র জুড়েই। এ নিবন্ধ খুশবন্ত সিং লিখেছিলেন শরণার্থীদের দুর্দশা এবং নির্মম অভিজ্ঞতা নিয়ে। গৃহস্থ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আশ্রয়ের করুণ গল্প তিনি তুলে এনেছিলেন মায়াভরা হৃদয়ে।
বয়স কখনোই কাবু করতে পারেনি খুশবন্ত সিংকে।নিজের সম্পর্কে গর্ব করে তিনি বলতেন "এই ৮০ বছর বয়সেও আমার বান্ধবীদের মেয়েরা আমার সাথে ডেটে যাবার জন্য প্রস্তুত।" আসলে খুশবন্তের সিং এর প্রতি মেয়েদের দুর্বলতার কারন বলেছেন লেখিকা সাদিয়ে দেহলভী। তিনি লিখেছেন: খুশবন্ত জানেন মেয়েদের কীভাবে আপ্যায়ন করতে হয়। প্রতিটা মেয়ের ভেতরেই চাপা একটা কষ্ট থাকে যা পুরুষ মানুষ কখনোই অনুধাবন করতে পারে না। খুশবন্ত এ থেকে শত শত মাইল এগিয়ে।" এই হলো খুশবন্তের প্রতি নারীদের দুর্বলতার রহস্য। যে মানুষ দিনের পর দিন গোসল করতেন না, একই পোষাকে থাকেন, নিয়মিত মদ্যপান করতেন তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে মেয়েদের বোঝাটা কত জরুরি!!
৯৫ বছর বয়সে এসেও লিখেছেন 'দ্য সানসেট ক্লাবের' মতো উপন্যাস। তাঁর জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিল, মৃত্যুর পর যেন তার দেহভস্ম জন্মভূমি পাঞ্জাবারের হাদালিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শেষ এই ইচ্ছেটি পূরণ হয়েছিল। শৈশবে তিনি যে গাছটির নিচে খেলতেন, তারই নিচে তার দেহভস্ম সমাহিত করা হয়েছিল। সমাধির ফলকে লেখা আছে, 'একজন শিখ, একজন জ্ঞানী ও পাঞ্জাবের হাদালির একজন সন্তান। এখানেই আমার শিকড়। আমি একে লালন করেছি স্মৃতিকাতর অশ্রুতে।'
তথ্যসূত্রঃ Truth,love and little malice- Khuswant Singh.