ইতিহাসের পাতায় থানোসের সেই বিখ্যাত গ্লাভস
মার্ভেল ইউনিভার্সের থানোস চরিত্রটি বর্তমান সময়ে কমিক এবং চলচ্চিত্র প্রিয় মানুষের কাছে খুবই পরিচিত একটি নাম। পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের ব্যাপারে থানোসের আইডিয়া যেমন বিতর্কিত ঠিক তেমনি তার রহস্যময় হাতের গ্লাভসটি ততটাই সমাদৃত।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে থানোসের এই গ্লাভসটি কি সত্যি কাল্পনিক? নাকি পৃথিবীর ইতিহাসে সত্যিই এমন কেউ ছিলেন যিনি এরকম গ্লাভস ব্যবহার করতেন? স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রশ্ন আসে, এরকম একটি গ্লাভস তৈরির ধারণার উৎপত্তি কোথায়?
সেইন্ট তেরেসা অফ এভিলা (St. Teresa of Ávila) বা সেইন্ট তেরেসা অফ জিসাস (Saint Teresa of Jesus) স্পেনে খ্রিষ্টধর্মের একজন জনপ্রিয় ধর্মযাজিকা ছিলেন। তিনি প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টানদের উত্থানের সময় ক্যাথলিক চার্চকে রক্ষা করার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। ২৮ মার্চ, ১৫১৫ সালে সেইন্ট তেরেসা জন্মগ্রহণ করেন। সাধারণ মানুষের সেবায় তিনি তার জীবদ্দশায় বেশ কিছু চার্চ এবং হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
৪ঠা অক্টোবর ১৫৮২ সালে সেইন্ট তেরেসা মৃত্যুবরণ করেন এবং কথিত আছে যে, কবর দেয়ার ৯ মাস পরও তার শরীর অক্ষত ছিলো। তাকে দ্বিতীয়বার কবর দেয়ার সময় তার শরীর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং খ্রিস্ট ধর্ম মতে পবিত্র বস্তু হিসেবে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংরক্ষিত সেই হাত যে আবরণের মধ্যে রাখা হয়েছে সেটি দেখতে থানোসের হাতের দস্তানার মতোই!
১৯৩৯- ১৯৭৬ সালে স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময় জেনারেল ফ্রাঙ্কো খ্রিষ্টধর্ম অনুযায়ী পবিত্র এই হাতকে তার নিজের কাছে নিয়ে আসেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত তা নিজের কাছে রাখেন। প্রচলিত আছে যে, ঘুমানোর সময়ও জেনারেল ফ্রাঙ্কো এই হাত নিজের বিছানার পাশে রাখতেন।
পরবর্তীতে জেনারেল ফ্রাঙ্কোর দুঃশাসনের অবসান হওয়ার পর সেইন্ট তেরেসা এর হাত আবার ক্যাথোলিক চার্চের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বলা হয়ে থাকে যে, অধর্মের উত্থানের সময় সেইন্ট তেরেসা ধর্মের পুনর্জাগরণের মাধ্যমে পৃথিবীকে আবার রক্ষা করেছিলেন। তাই এই হাতটিকে ক্যাথোলিক চার্চের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি বলে বিবেচনা করা হয়।
অনেকের ধারণা বিখ্যাত এই রেলিক বা পবিত্র বস্তু থেকেই থানোসের গ্লাভসের আইডিয়া নেয়া হয়েছে। আপনাদের কি মনে হয় পাঠক? এই ঘটনা দুইটি কি সম্পর্কযুক্ত? আপনার মতামতটি জানিয়ে দিন লেখাটির নিচে থাকা কমেন্ট বক্সে।
ড্রাকুলার নির্মম ইতিহাস
শ্বেত মৃত্যু: ইতিহাসের সর্বাধিক কিল রেকর্ড যে স্নাইপারের