মোবারক ইবনে মনিরের ৩টি কবিতা
এ আমার আবেগ নয়
নতুন কিছু করার উদ্যোগে হারিয়ে যাবো
একবিংশ শতাব্দীর গর্ভে
আমাকে নতুনরূপে দেখতে পাবে
কাছ থেকে নয় কেবল দূর থেকে
আমার কবিতার বই প্রকাশ করিনি
কিন্তু কবির মত বাস্তবতার গভীরে ডুব দেওয়ার পথটা জানি
অর্থের জন্য ভালবাসা চাই
ভালবাসা ছাড়া অর্থ অর্থহীন
বুঝে নিও এ আমার আবেগ নয়
এটাই আমি ; এটই আমার সত্বা
বলতে নয়, কিছু করার জন্য পৃথিবীতে জন্ম
সবাই চলে যাবে,তুমিও যাবে, আমি ও যাব, কিন্ত তোমার আমার গমনের মধ্যে ব্যবধান রইলো কোথায়?
সময়ের গড্ডালিকা প্রবাহে নয়, উদাসীনতা থেকেও নতু কিছু আবিষ্কার করা যায়।
মেধা দিয়ে জগত চলে না
সবার উপরে কেবল চেষ্টা চেষ্টা এবং চেষ্টা।
ঐতিহ্য দিয়ে কেউ জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে পারে নি।
নিজের কিছু না থাকলে
রাস্তার পাগলেও দাম দেয় না।
কোথায় আমি?
সমাজ একে অপরের প্রয়োজনে
পণ্য হিসেবে,
নারী-পুরুষ সবাই পণ্যের সাথে বিক্রিত
দরদাম হয় সস্তা মূল্যে।
জ্ঞান-বিজ্ঞান বলো
আর ধর্মই হলো
সবার রাস্তা একদিকে।
প্রত্যাবর্তনের কোনো পথ নেই,
আলোর দিকে ফেরার কোন পদ্ধতি নেই,
আঁধারে ডুবেই মরতে হবে
ব্যর্থ চেষ্টার সময় খোয়াবে।
হয়তো পেতে পারো সাময়িক সুখ
তবে হাসির আড়ালে লুকাবে
মনের অন্তর্গত যন্ত্রণা।
অনেক হাত পাবে
যারা তোমাকে নিয়ে যাবে আপন গৃহালয়ে
বসবাসের জন্য নয় ; বিনোদনের জন্য।
তুমিও খেলনার মতো আন্দোলিত হবে
ভেবে নিবে জগতটা তোমার ।
কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে বাস্তবতা-
প্রকৃতিকে ডাক দাও,সে সাড়া দেবে না
চাঁদের দিকে তাকাও, সে আলো দেবে না
জোৎস্না ছুঁতে যাও,তার নাগাল পাবে না
জলে ডুব দাও,সান্ত্বনা পাবে না
রাতে ঘুমাও, স্বপ্ন দেখবে না।
এই জগতের মঞ্চে তুমি একা
নিঃসঙ্গতার গানে নাচছো
আর তোমার মুখ দিয়ে বেরুচ্ছে
কিছু আক্ষেপের শব্দ।
আফসোসে, অশান্তিতে, আলোর অভাবে
বলছো আহ্-আহ্-আহ্!
কোথায় আমি;
আর কোথায় আমার কোলাহল...?
ফিরে তাকাও
বলো বন্ধু!
আমরা এক সভ্য জাতি
আমাদের আছে নিজস্ব চিন্তা, চেতনা, সংস্কৃতি
বাঙালী বলে নিজেকে
আর মনে করিও না ছোট
এই বাংলাদেশে জন্মেছে শরিয়াতুল্লাহ্,তিতুমীর,ফরিদপুরী
জিয়া,মুজিব,সোহরাওয়ার্দী।
এই বাংলার প্রতিটি রাজপথে রয়েছে
রক্তের মিছিল
জীবন বাজি রেখে
শহীদি চেতনা নিয়ে
পরাজিত করেছে শত্রুকে।
আমরা স্বাধীন জাতি
স্বাধীন আমাদের দেশ
তনে কেন করছ আমদানি
পশ্চিমাদের বেশ।
তোমরা কী ভুলে গেছ ইতিহাস
ব্রিটিশ বের্নিয়া বাহিনীর কথা
যাদের প্রতিটি বিষয় ছিল
অন্যায়, নির্যাতন, নিপীড়নে গাঁথা।
মেরেছে কত মানুষ
না দিয়ে ভাত মাছ,
কখনো বা চাপিয়ে দিয়েছে সাধ্যেতীত কাজ।
সেই ইংরেজদের কুচক্রান্তকারী ক্লাইভের হতে
শেষ হয়েছিল বাংলার শাষন।
ধন সম্পদ সুখ শান্তি ছিনিয়ে নিয়ে
করতে চেয়েছিল নিজেদের মধ্যে পোষন।
ছিন্ন করেছে ভাই ভাইয়ের
ঐক্যের বন্ধন
দাস বানিয়ে রাখতে চেয়েছিল আা-জীবন।
ফিরে তাকাও বন্ধু!
জেগে ওঠো আরেকবার
ছুড়ে ফেলে দাও পশ্চিমাদের সংস্কৃতি
ধর বাঙালীর বেশ
বিশ্ব মানচিত্রে আবার আঁক
আমার সোনার বাংলাদেশ।
আমাদের ও আছে উওরসূরী
এ যুগে এত জ্ঞান বিজ্ঞানের ছড়াছড়ি
হাতের নাগালে পাওয়া যায় সবি
তবুও কেন তোমরা মূর্খ জাতি!
সভ্যতার ছোঁয়ায় বিকিয়েছো
নিজেদের পরিচয় ও ঐতিহ্যের খ্যাতি
বল তুমি নিজে-
জানিয়া,শুনিয়া,বুঝিয়া
কেন ধটেছ বেশ পশ্চাত্যের নস্টামি।
ভুলিয়া বাপ দাদা ও বংশের নাম
নতুন করে রচিয়েছ পদবী।
বল কী পেয়ছ!
ভেবেছ কী কখনো!
হয়ত সময় হয়নি
কারণ এখন ফেসবুক, ইউটিউব ছাড়া
সময়ের সৎব্যবহার নাহি জানি।
যে জাতি করেনি কখনও
নিজের শির অবনত
উচ্চকন্ঠে বলে গেছেন
সত্যের কথা যত।
আমরা তো ভাই তাদেরি উওরসূরী
তাহলে কেন করছ অন্যের গোলামী
ছেড়ে দাও তাকে, দাও শত ধিক
নতুন করে চালাও জীবনের তরী।