রাঙা মামা খুব অসুস্থ। তার নাকি প্রকৃতি ছাড়া কিছুই ভালো লাগেনা। তাই বায়ু পরিবর্তনের জন্য চলে গেলাম ময়মনসিংহে। রাঙা মামা ময়মনসিংহ বেছে নিলো তার বন্ধু জহির উদ্দিনের কথায়। জহির মামা নাকি ওই এলাকার ছেলে। তার নির্দেশে আমাদের আপ্যায়নটাও হলো জামাই আদরের মতো। আমরা গিয়ে উঠলাম জহির উদ্দিন মামার বাবার বাগান বাড়িতে।


বাগানবাড়ি ছিলো বিশাল। আমাদের পথপ্রদর্শক ছিলো পাঞ্জাবি এক পেয়াদা। তার নাম ছিলো রামমোহন সিং। রামমোহন আমাদের নিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন জায়গায় যেতো এবং তার ইতিহাস বলতো। হঠাৎ একদিন রাঙা মামার চোখে পড়লো বিশাল এক বাড়ি যা জঙ্গল এর ভেতরে ঢাকা পরে আছে। রাঙা মামা জিজ্ঞেস করলো, "রামু, তুমি সব বললে কিন্তু এই বাড়ির ইতিহাসটা তো বললে না!!" রামু কাকা তখন কিছু না বলেই বিষয়টা এড়িয়ে চলে গেলো। আমিও রাঙা মামা কে বললাম, কি ব্যাপার বলতো রাঙা মামা!! রামু কাকা কিছু এড়িয়ে যাচ্ছেনা তো? আমরা এই বিষয়ে জহির মামা কে জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু তিনিও কিছুই বলতে পারলেন না। তখন আমরা রামু কাকাকে খুব করে জোর করলাম। এবং রামু কাকা অবশেষে বললো, "সুনিয়ে সাব জি, বাহুত আগ কি বাত হ্যায়। ইহা পে এক জামিদার কি হাভেলি থি। ভো জামিদার কি নাম থা রাধানাথ শিকদার। উসকা এক বিবি ভি থা। উসকি হালাত বহত খুব সুড়াৎ থা। এসে কি ভো জামিদারকি পাত্নি হে না? তো উসকা বহৎ সারে গ্যাহনা বি থা। বোলনেকি বাত হে কি উসকা এক দাসী থা। ওর ইস দাসীকা নাম থি রাঙ্গিলা। ইয়ে রাঙ্গিলা হামেশা উসকি রাণিমা কি তাড়া বান্নাহ চাহ তেথি। ওর কাভি কাভি উস রাঙ্গিলা নে উসকি রাণিমা কি গ্যাহনা প্যান থে তি। পার এক দিন রাণিমা নে ইয়ে দেখলিয়া। রাণিমা নে উসকো ধামকি দিয়া ওর বহুত কুস বলা হে কি ইয়ে ঠিক নেহি কারা। রাঙ্গিলা শামা চাহ লিয়া, ওর বোলা কি বাবু জি কো কুছ মাত বোলিয়ে। আগলি ছে কাভি য়্যাছা নেহি হোগা। লেকিন রাঙ্গিলা বহৎ চাতুর লারকি থা। উস দিন কি বাত উসকো মানস্থির কার লিয়া কি ইয়ে সারে গ্যাহনা কি মালিক ওহি বান গায়া। ইস লিয়ে এক রাত মে রাঙ্গিলা নে রাণিমা কো বালিশ চাপা দে কার মারডালা। মেরা দাদাজি হারপাদান থি, জমিদার বাবু কা পেয়াদা। জামিদার বাবুনে উসকো পাঞ্জাব ছে ইহা লেকার আয়া। মেরা দাদা জি সাবকুছ দেখ লিয়া থা। পার উছিনে কিছি কো বাতায়্যা নেহি । ইছ কাহানী কি বাদ বাবুজি সাবকুসমে বহত ঢিলা হো গায়া। একদিন রাঙ্গিলা বাবু জ্বি কি পাছ আয়া ওর উসকো বোলা কি ভোহিনে রাণিমা কি খাস দাসী থা। রাণিমা কি সাবকুছ ভো জানতা হে। ওর বোলা মারনেসে পেহলে রাণিমা কি এক আখরি মার্জি থা।ভো ইয়ে হে কি রাণিমা কি মারনেকি বাদ উসকো সারি গ্যাহনা নোদি মে ফেক দেনে কো। বাবু নে বোলা কি তুমহারা জো ঠিক লাগতি ভোহি কারো। উসকি বাদ বাবু নে সান্নাসী হোগ্যায়া। ওর কোহি জানতি নেহি হে কি ভো আভি কাহা গ্যায়া। ওর রাঙ্গিলা মে সব গ্যাহনা ওর সাবকুছ বিসর্জন কি নাম পে উসকো হাওলা কার দিয়া। মেরি দাদা জি রাঙ্গিলা কি বাত কেহদিয়া সাবকো। পার কিছি নে উসকো বাত কো বিসওয়াশ নেহি কারা। লোকোকি মুমে সুন যাতিহে কি রাণিমা কি মারনেকে বাদ উসকি আত্মানে ইয়ে বাদলা লেনেকি কোরশিশ কার রাহেহে।ইস লিয়ে ভো আত্মা ইহামেহি ঘুর রাহিহে।”



এই ইতিহাস শুনে আমরা শিহরিত হয়ে যাই। একটা দাসী কি করে এমন কাজ করতে পারে? যাই হোক আমাদের দিনও শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমরা আর অপেক্ষা করতে পরলাম না তাই সব গোছগাছ করে চলে এলাম চিরচেনা শহর শিবচরে।
লেখক: শাহনেওয়াজ ইবনে শাহজাহান
শিবচর নন্দকুমার মডেল ইনষ্টিটিউশনের অষ্টম শ্রেনির ছাত্র,ভালোবাসে ক্রিকেট খেলতে আর wrestling দেখতে।