ক্রুসেড: ১ম পর্ব
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ক্রুসেড (Crusade) কি? আজকের এই লেখাটি থেকে চলুন জেনে নেই বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নটির উত্তর। ক্রুসেড (Crusade) শব্দটি এসেছে ইংরেজি শব্দ Cross থেকে। আমরা সবাই মোটামুটি জানি যে, খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় প্রতীক হলো Cross। ক্রুসেড বলতে প্রধানত ধর্মযুদ্ধ বোঝায়। মূলত একাদশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত মুসলিম ও ইউরোপীয় খ্রিষ্টানদের মধ্যে চলমান পর্যায়ক্রমিক ধর্মযুদ্ধগুলোকে ক্রুসেড বলা হয়। ঐতিহাসিকদের মতে ক্রুসেড শুধু ধর্মযুদ্ধ ছিলো না। বরং এই যুদ্ধ ছিলো দুইটি ভৌগলিক ও ধর্মীয়ভাবে বিভক্ত জনগোষ্ঠীর মাঝে সংস্কৃতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিদ্বেষ এর ফল। কারণটা ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের তুলনা করলে এখনও বোঝা যায়। মুসলিমদের লেভ্যান্ট (Levant) বিজয়ের পর রোমান তথা পশ্চিমা শক্তি সংকুচিত হতে থাকে। এই হারানো প্রতিপত্তি ফিরে পাওয়ার জন্যই যুদ্ধগুলো সংগঠিত হয়।
এই ঐতিহাসিক যুদ্ধগুলো ১০৯৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১২৯১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সংঘটিত হয় এবং যার মধ্যে বড় যুদ্ধ হয়েছিল প্রায় ৮টি।
যুদ্ধগুলো হলো:
১ম ক্রুসেড: ১০৯৬ থেকে ১১০৯ খ্রি
২য় ক্রুসেড: ১১৪৭ থেকে ১১৮৯ খ্রি.
৩য় ক্রুসেড: ১১৮৯ থেকে ১১৯২ খ্রি.
৪র্থ ক্রুসেড: ১১৯৩ থেকে ১১৯৮ খ্রি.
৫ম ক্রুসেড: ১২০০ থেকে ১২১৫ খ্রি.
৬ষ্ঠ ক্রুসেড: ১২১৬ থেকে ১২১৭ খ্রি.
৭ম ক্রুসেড: ১২৩৮ থেকে ১২৩৯ খ্রি.
৮ম ক্রুসেড: ১২৪৪ থেকে ১২৯১ খ্রি.
এই সংঘাতের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলো ফিলিস্তিনের জেরুজালেম; যা খ্রিস্টানদের নিকট পবিত্র ভূমি বা Holy Land নামে পরিচিত। জেরুজালেম ইব্রাহিমীয় ধর্মাবলম্বী তথা মুসলিম, ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের কাছে নিকট পবিত্র ভূমি হিসেবে গণ্য। যেহেতু ক্রুসেডগুলো শত শত বছর পুরনো হিংসা আর প্রতিপত্তির লড়াই, সেহেতু এর পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। এই লেখায় ক্রুসেডের মৌলিক কারণগুলো স্পষ্ট করা যাক।
১. ধর্মীয় কারণ:
ক্রুসেড এর ধর্মীয় কারণ মূলত জেরুজালেম কেন্দ্রিক। আসলে খ্রিস্টানরা মুসলিমদের সহ্য করতে পারত না। খ্রিস্টানরা সমসাময়িক মুসলিমদের উন্নতিতে প্রবলভাবে ঈর্ষান্বিত ছিলো। কারণ সারা বিশ্বে মুসলিমদের সংখ্যা ও প্রভাব দ্রুত বাড়ছিলো।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর পরে সুবিশাল ইসলামিক খিলাফত প্রতিষ্ঠা হয়। যাকে বলা হয় রাশিদুন খিলাফত। আর সেই খিলাফতের প্রথম খলিফা নিযুক্ত হন হযরত আবু বকর (রাঃ)। ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে হযরত আবু বকর (রা)- এর পর হযরত উমর ফারুক (রাঃ); খলিফা নিযুক্ত হন এবং তার নেতৃত্বে মুসলিমরা বাইজেন্টাইন তথা পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের সাথে যুদ্ধে জয়ী হয় এবং লেভ্যান্ট জয় করেন। এই লেভ্যান্ট আসলে বর্তমানের সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইসরাইল, লেবানন ও তুরস্কের আনাতোলিয়ার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত একটি বিশাল অঞ্চল।
এখানে বলে রাখা ভালো যে, লেভ্যান্ট অঞ্চল জয়ে হযরত আবু বকর (রাঃ)ও অংশ নিয়েছিলেন।
এবার জেরুজালেম প্রসঙ্গে আসা যাক। হযরত উমর (রাঃ) বাইজেন্টাইনদের সাথে ৬৩৬ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর থেকে শুরু করে ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল পর্যন্ত স্থায়ী যুদ্ধটিতে জয়ী হয়ে জেরুজালেম দখল করেন। যেহেতু জেরুজালেম খ্রিস্টানদের নিকট অতি পবিত্র শহর ছিলো, তাই খ্রিস্টানদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। যদিও হযরত উমর (রাঃ) খ্রিস্টানদের জেরুজালেমে আসার অনুমতি দেন এবং ধর্ম পালনে পূর্ণ স্বাধীনতা দেন। তারপর ইতিহাসের পাতায় চলতে থাকে উত্থান পতনের প্রায় সাড়ে তিনশো বছর।
এদিকে খ্রিস্টানরা জেরুজালেম পুনরুদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখা সত্ত্বেও সফল হয় নি। বরং এই দীর্ঘ সময়ে রাশেদিন খিলাফত ভেঙে গঠিত হয় উমাইয়া খিলাফত। উমাইয়া খিলাফত হ্রাস পেতে থাকলে গঠিত হয় নতুন আব্বাসীয় খিলাফত। এভাবে জেরুজালেমের মালিকানা হাতবদল হতে থাকে রাশেদিন হতে উমাইয়া এবং উমাইয়া হতে আব্বাসীয় খিলাফতের কাছে। অবশেষে এই জেরুজালেম দখল করে নেয় ফাতেমীয় খিলাফত।
খ্রিস্টানদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ তৈরী হয় যখন ১০০৯ খ্রিস্টাব্দে ফাতেমীয় নবম খলিফা আল হাকিম খিলাফতের তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জেরুজালেমের Church of the Holy Sepulchre ও এর আশপাশের খ্রিষ্ট ধর্মীয় স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ফাতেমীয় দশম খলিফা আলী আল জাহির, বাইজেন্টাইনদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বাইজেন্টাইন সম্রাট রোমানোসের (Romanos III Argyros) সাথে চুক্তি করে ১০০৯ খ্রিস্টাব্দে ভেঙে ফেলা স্থাপনাগুলো পুনঃনির্মাণ করেন।
চলুন পাঠক, ফাতেমীয় খিলাফত সম্পর্কে একটু জেনে নিই। ফাতেমীয় খিলাফত (আরবি: الفاطميون, al-Fāṭimiyyūn) ইসলামি খিলাফতগুলোর মধ্যে চতুর্থতম। মুসলিম বিশ্বের সব খিলাফত ছিল সুন্নী মুসলিমদের; শুধুমাত্র ফাতেমীয় খিলাফত ছিল শিয়া মুসলিমদের। এই ফাতেমীয় খিলাফতের উত্থান ঘটে মূলত তিউনিশিয়ায়, ৯০৯ খ্রিস্টাব্দে। এবং এই খিলাফতের রাজধানী প্রথমে ছিল তিউনিশিয়ার রাক্কাদাহ (৯০৯- ৯২১ খ্রিষ্টাব্দ), মাহদিয়া (৯২১- ৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দ), আল মানসুরিয়া (৯৪৮- ৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দ) এবং সবশেষে মিশরের কায়রো (৯৭৩- ১১৭১ খ্রিষ্টাব্দ)। এই খিলাফতের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মাহদী বিল্লাহ।
ফাতেমীয় খিলাফতের বিস্তৃতি ছিল পূর্বে লোহিত সাগর থেকে শুরু করে পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকার বিস্তীর্ণ এলাকায়। তিউনিসিয়াকে ভিত্তি করে গড়ে উঠা এই রাজবংশ আফ্রিকার ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল শাসন করতো। একসময় মিশরকে এই খিলাফতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হয়। সর্বোচ্চ সীমায় পৌছার পর ফাতেমীয় খিলাফতের অধীনে মাগরেব, সুদান, সিসিলি, লেভান্ট ও হেজাজ শাসিত হয়।
ফাতেমীয় দশম খলিফা থেকে পরবর্তীদের অধীনে জেরুজালেম খ্রিস্টানদের জন্য খুব সমস্যা তৈরি করা হয় নি। কারণ খলিফা আল জাহির ও খলিফা আল মুনতাসিরের সাথে বাইজেন্টাইনদের ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু তাদের মনে ভয় ছিলো এবং সাথে ছিলো জেরুজালেম দখলের লোভ। যা পরবর্তীতে প্রকাশ পায় সেলজুক শাসনামলে।
২. সেলজুকদের জেরুজালেম দখল:
অন্যদিকে সেলজুকদের সাথে বাইজেন্টাইনদের ক্ষমতার লড়াই চলছিলো। যার সাক্ষী মালাজগির্দের যুদ্ধ। মালাজগির্দের যুদ্ধ ১০৭১ সালের ২৬ আগস্ট বর্তমান তুরস্কের মাশ প্রদেশের মালাজগির্দের নিকটে সেলজুক সাম্রাজ্য ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মধ্যে সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে বাইজেন্টাইনরা পরাজিত হয় এবং সম্রাট চতুর্থ রোমানোস বন্দী হওয়ার ফলে আনাতোলিয়া ও আর্মেনিয়ায় বাইজেন্টাইন কর্তৃত্ব হ্রাস পায়; এতে আনাতোলিয়া তুর্কিদের তথা সেলজুকদের হস্তগত হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়। ফলশ্রুতিতে সেলজুক ও বাইজেন্টাইনদের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব তৈরী হয়। যা ক্রুসেডকে ত্বরান্বিত করে।
আব্বাসীয় খিলাফত যুগে সেলজুকদের উত্থান ঘটে। সেলজুকরা মূলত তুর্কি ওঘুজ। এরা বাস করতো তুর্কিস্তানের বরফাবৃত কিরগিজ অঞ্চলে। সুন্নী মুসলিম ছিলো বলে সেলজুকরা আব্বাসীয় মতাদর্শে অনেক প্রভাবিত ছিলো। যা তৎকালীন সময়ে আব্বাসীয় খিলাফত তথা সুন্নীদের পুনরুজ্জীবিত করে। এর ধারাবাহিকতায় আব্বাসীয়দের হারানো জেরুজালেম তথা ফিলিস্তিন ও দক্ষিণ সিরিয়া ফিরে পাওয়ার জন্য সেলজুকদের মাঝে তীব্র আকাঙ্খা তৈরী হয়।
শিয়াদের থেকে জেরুজালেম পুনরুদ্ধার এর বাসনা থেকে সেলজুক কমান্ডার, আতসিজ ইবনে উয়াক আল খাওয়ারিজমি (Atsiz ibn Uwaq al-Khwarizmi) ১০৭১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০৭৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সিরিয়া এবং ফিলিস্তিন দখল করে নেন ফাতেমীয়দের দখল থেতে। তিনি একাই ফাতেমীয় খিলাফত থেকে দুই বার জেরুজালেম দখল করেন ১০৭৩ এবং ১০৭৭ সালে।
একদিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে সেলজুকরা মনে করতে শুরু করে যে, জেরুজালেমে খ্রিস্টানরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে। তাই জেরুজালেম দখলের পরে খ্রিস্টানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেলজুকরা। অন্যদিকে খ্রিস্টানদের ধারণা ছিল সেলজুকদের অধীনে জেরুজালেমে তাদের তীর্থস্থান সংকটাপন্ন। তাছাড়া সেলজুকদের কাছে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য হেরে গেছে এবং সেলজুক শাসকরা খ্রিস্টানদের গির্জা Church of the Holy Sepulchre এর পাশে মসজিদ নির্মাণ শুরু করতে চায়। এর ফলে খ্রিস্টানদের উপাসনালয় বাঁচানো ও তীর্থযাত্রার সুবিধার কথা চিন্তা করে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রুসেড এর জন্য ঐক্যের ডাক দেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ আরবান (Pope Urban II). পোপ আরবানের ডাকে ধর্মযাজক, ইউরোপীয় রাজা ও বনেদী লোকদের নিয়ে ধর্ম সভার আয়োজন করা হয়, যাতে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্রুসেডে যোগ দেয়।
৩. অর্থনৈতিক কারণ:
ইউরোপীয়রা হলো বেনিয়ার জাত। ব্যবসা তাদের অন্যতম জীবিকা। এটা তো সকলেরই জানা যে, এই ব্যবসার কারণেই তারা উপনিবেশ স্থাপন শুরু করে সপ্তদশ শতাব্দী হতে। ইসলাম সপ্তম শতাব্দী থেকেই দ্রুত বিস্তার লাভ করতে থাকে। ফলে অষ্টম শতাব্দীর শুরু থেকেই ভূ-মধ্যসাগরীয় এলাকাগুলো মুসলমানদের দখলে চলে যেতে থাকে। দশম শতাব্দীতে ভূমধ্যসাগরের অধিকাংশ আফ্রো-এশীয় অঞ্চলের ও স্পেনের জলসীমার নেতৃত্ব মুসলিমদের হাতে চলে যায়। যার ফলে ইউরোপীয়দের সাথে আরবের মুসলমানদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এসময় ইউরোপীয়রা বাণিজ্যিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে অর্থনৈতিক দুরবস্থা দেখা দেয়। এক সময় নিরুপায় হয়ে ইউরোপীয় বণিকরা ভূমধ্যসাগরে ব্যবসার স্বার্থে ধর্মকে পুঁজি করতে পোপের শরনাপন্ন হয়।
৪. রাজনৈতিক কারণ:
সত্যি বলতে ৭১১ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিমদের স্পেন বিজয় ইউরোপ বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করে। এতে করে ইউরোপের খ্রিস্টানদের মাঝে ভয়ের সঞ্চার হয়। মূলত দশম শতাব্দী থেকেই ইউরোপের খ্রিস্টানরা অস্তিত্ব সংকট অনুভব করতে থাকে। কারণ ভৌগলিকভাবে মুসলিমরা তাদের ঘিরে ফেলেছে। স্পেনে উমাইয়া, উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় এবং আরব ভূখন্ডে আব্বাসীয় শাসন চলছে। একাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে সেলজুকদের কাছে বাইজেন্টাইনদের পরাজয়ের মাধ্যমে সেলজুকদের নাটকীয় উত্থান শুরু হয়। পরে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে তুমুল যুদ্ধ শুরু হলে ইউরোপীয় খ্রিষ্টানরা নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। যা ক্রুসেড এর আরেকটি অন্যতম কারণ।
৫. সামাজিক কারণ:
মধ্যযুগে ইউরোপে সামন্ততন্ত্রের প্রভাব ছিল অনেক। যার ফলে এক রাজ্যের সাথে অন্য রাজ্যের সংঘাত লেগেই থাকত। এতে করে ইউরোপীয় জনসাধারণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে যায়। তখন সামন্তপ্রভুরা নিজেদের স্বার্থে নিজ নিজ ভূখন্ডে শান্তি বজায় রাখার জন্য ও নিজেদের শক্তিমত্তা দেখানোর জন্য ক্রুসেড করতে প্রবল আগ্রহী হয়ে ওঠে। কারণ সবাই মিলে বহিঃশত্রুর সাথে লড়তে থাকলে নিজেদের মধ্যকার বিরোধ থাকবে না। ফলে সামন্তপ্রভুরা নিজেদের অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে পারবে।
দ্বিতীয় পর্বের নিমন্ত্রন রেখে প্রথম পর্ব এখানেই শেষ।